কলকাতা, ২০ জুলাইঃ তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশের ঠিক আগে রাজনৈতিক বার্তা আরও স্পষ্ট হল। অসম সরকারের এনআরসি নোটিশ প্রাপক দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসী আজ সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছান। সোমবার ধর্মতলায় তৃণমূলের ঐতিহাসিক সমাবেশে তিনি যোগ দেবেন। শিয়ালদহ স্টেশনে তাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিজেও। উত্তমের বিরুদ্ধে এনআরসি-র নামে অসম সরকার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যা নিয়ে সম্প্রতি শোরগোল পরে রাজ্য জুড়ে। কিভাবে দিনহাটার বাসিন্দাকে অন্য রাজ্যের সরকার ওই নোটিশ পাঠায় সেই প্রশ্ন তোলে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবারের শহিদ দিবসের বার্তা হল—নাগরিকত্ব নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। বিজেপি-র এনআরসি ও সিএএ নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল বরাবরই সরব। উত্তমের উপস্থিতি সেই প্রতিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অসমের এনআরসি-র বাস্তব রূপ দেখে বাংলার মানুষ আতঙ্কিত। উত্তরবঙ্গ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তম কুমার ব্রজবাসীর মতো একজন সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠছে।
এবিষয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান,অবৈধভাবে নোটিশ করে এনআরসি তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিষয়টি জানার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তমের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দেন। তাতে অনেকটাই আশ্বস্ত হন উত্তমের পরিজনেরা। সেই উত্তম ২১ জুলাই উপলক্ষে এদিন কলকাতায় পৌঁছন। স্টেশনে তাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিজেও।
অভিজিৎ বাবু আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই বলেছেন— বাংলায় এনআরসি হবে না। উত্তমের উপস্থিতি সেই বার্তাকেই আরও দৃঢ় করবে।”
এদিন উত্তম কুমার ব্রজবাসীর বলেন, “আমি ভারতীয় নাগরিক। তবু আমাকে প্রমাণ করতে বলা হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতেই ২১ জুলাইয়ে যোগ দিতে এসেছি।”




