নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড: ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গায় হানা দিল ইডি

29

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২১ অগাস্ট, কলকাতাঃ
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার সকালে কলকাতা এবং সংলগ্ন তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। ভবানীপুরের লি রোডের যে আবাসনে হানা দিয়েছে ইডি, সেখানে নিয়োগকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায় এবং জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় থাকেন।

ইডি সূত্রে খবর, সুজয়ের মেয়ে, জামাইয়ের ফ্ল্যাটেই হানা দেওয়া হয়েছে। আর নিউ আলিপুরের যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি একটি সংস্থার অফিস যে সংস্থার ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন সুজয়। তৃতীয় ঠিকানাটি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের সাঁজুয়া। সেই ঠিকানার সংস্থাটির সঙ্গেও সুজয়-যোগ রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন আগেই নাম জড়িয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। ধৃত একাধিক ব্যক্তির মুখে শোনা গিয়েছিল তাঁর নাম। পরবর্তীতে ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অবশেষে গ্রেপ্তারি। কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ইডি দাবি করেছিল, কালো টাকা সাদা করতে মেয়ে এবং জামাইকেও ব্যবহার করেছিলেন সুজয়।

১২৬ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তাঁর জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায়। চার্জশিটে এও বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

তদন্তকারীদের দাবি যে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে, তা ‘দুর্নীতি’র টাকা। যদিও তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজয় বা তাঁর জামাইকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দিবাকর। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কিনতে তিনি যে সুজয়কৃষ্ণের সহায়তা পেয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জামাই দেবরূপ।