আদিবাসী মহিলাদের নিগ্রহে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো এডিটর সুজয় সরকার ওরফে রাজু

13

উত্তর ২৪ পরগনাঃ পানিহাটি বিধানসভার ঘোলা থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ভুয়ো এডিটর সুজয় সরকার ওরফে রাজু।এই জালিয়াতের বাড়ি ঘোলা থানা এলাকার আগরপাড়া ৩ নম্বর আজাদ হিন্দ নগরে। বাবার নাম নির্মল সরকার।এই জালিয়াত ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নিজেকে ২৪×৭ চ্যানেলের এডিটর বলে পরিচয় দিত। এই এলাকায় প্রচুর প্রেস কার্ড বিক্রি করেছে।

সুজয় সরকার ওরফে রাজু ঘোলা থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সোর্স ছিল। বছর কয়েক আগে জোর করে নাবালিকাকে বিয়ে করার অপরাধে ৫ বছর জেল খাটে।জেল থেকে বেরিয়ে ঘোলা থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করে। ঘোলার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সোর্স হওয়ার সুবাদে মোট চারটি বিয়ে করে। প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ ঘোলা থানায় ওসি থাকাকালীন বিভিন্ন নিরীহ লোকের নামে ধর্ষণ। পকসো কেস করে কোটি টাকার উপরে রোজগার করেছে এই সুজয় সরকার। যে টাকার একটি মোটা অংশ যেত ঘোলার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের কাছে।

গোপন সূত্রে আরও জানা যায়, ঘোলার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজকে মজলিসের জন্য মহিলা সরবরাহ করত এই সুজয় সরকার ওরফে রাজু। এই সুজয় সরকার ওরফে রাজু নিজের বাড়িতে সুন্দরী মহিলা নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সহযোগিতায় দেবু দেবনাথ নামে হাবড়ার বাসিন্দা এক নিরীহ ব্যক্তিকে জেল খাটায়। কখনও আবার নিজেকে প্রমোটার পরিচয় দিয়েও অনেক গরীব মানুষের জমি আত্মসাৎ করেছে।এক সময়ে পেশায় কাঠমিস্ত্রি সুজয় সরকার ঘোলা থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সোর্স হয়েই এসমস্ত অনৈতিক কাজ করে কোটিপতি হয়েছে।

পুলিশকে নিউজ ২৪×৭ – এডিটর পরিচয় দিয়ে ম্যাসেজও পাঠাত।চাকা ঘুরতে শুরু করল আদর্শবান সাচ্চা ওসি হিসেবে ঘোলা থানায় কৌশিক দাস বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের স্থলাভিসিক্ত হওয়ার পরেই। ১০০ বছর ধরে বসবাস করা নিরীহ আদিবাসী মহিলাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আদিবাসী মহিলাদের ব্যপক নির্যাতন শুরু করে এই স্বঘোষিত সাংবাদিক – এডিটর সুজয় সরকার ওরফে রাজু। আদিবাসী মহিলারা প্রান বাঁচাতে ঘোলা থানায় আশ্রয় নেয়। ওসিকে ওই নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলারা তাদের উপরে অত্যাচারের কথা জানান।

নিষ্ঠাবান ওসি কৌশিক দাস নিরপেক্ষ তদন্ত করে সমস্ত ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। এরপর ওসি এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে ঘোলা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তনয় চ্যাটার্জিকে সঙ্গে নিয়ে জালিয়াত সুজর সরকার ওরফে রাজুকে তার বাড়ি থেকে তপশিলী ও আদিবাসী নিগ্রহ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ অ্যাক্টোসিটি অ্যাক্টে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে সুজয় সরকার ওরফে রাজুকে।

এদিকে ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পরেই সুজয়ের কাঠমিস্ত্রি বাবা নির্মল সরকার ও ভাই অজয় সরকার এলাকায় প্রচার করছে, আমরা ঘোলা থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজের সোর্স। তাই আমার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।