খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২ অগাস্ট, ভোপালঃ মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের আফ্রিকা থেকে আনা চিতার মৃত্যু হল। এই নিয়ে পাঁচ মাসে সেখানে মারা গেল মোট নয়টি চিতা। তার মধ্যে তিনটি শাবক। কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বুধবার সকালে ধত্রি নামক মহিলা চিতাটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কীভাবে মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মেনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আফ্রিকা থেকে ধাপে ধাপে চিতা আনার প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত। এখনও অবধি আনা হয়েছে ২০টি চিতা। ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। এ বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে। পরে কয়েকটি চিতার শাবকও জন্মায়। সব মিলিয়ে ২৪টি চিতা ছিল কুনো ন্যাশনাল পার্কে। কিন্তু দেশে আনার পর থেকেই মৃত্যু হচ্ছিল একের পর এক চিতার। জুলাইয়েই মৃত্যু হয়েছিল সুরজ ও তেজস নামে দুই চিতার। বুধবার পর্যন্ত মোট ৯টি চিতা মারা গেল।
আফ্রিকা থেকে আনা চিতাদের মধ্যে প্রথমটি মারা যায় মার্চে। এর আগে চিতার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল, ইনফেকশন, দুই চিতার লড়াই, কিডনি ফেলিওরের মতো বিষয়গুলি। চিতা মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে।
কিছু দিন আগে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বিষয়টিকে ‘মর্যাদার প্রসঙ্গ’ না বানিয়ে চিতাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রকে সক্রিয় হতে বলেন বিচারপতি গাভাই। অন্য কোনও অভয়ারণ্যের বদলে কেন আফ্রিকা থেকে আনা চিতাদের এক জায়গায় রাখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। তিন সদস্যের বেঞ্চের তরফে মোদি সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলায় সদর্থক পদক্ষেপ করার জন্য।