১৯৭১ সালের পর রাত পোহালেই প্রথমবার নাগরিক মক ড্রিল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুক আমজনতাও! একাধিক রাজ্যকে মহড়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

341

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৬ মেঃ পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার পর ভারত, পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে ঠেকেছে। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবার নাগরিক মক ড্রিলের নির্দেশ এসেছে সোজা কেন্দ্র থেকে। জানা যাচ্ছে, আগামিকালের মক ড্রিলে ‘সিভিল ডিফেন্স সিস্টেম’র পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া হবে। তার কার্যকরিতা ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে নাগরিকদের ট্রেনিং এই গোটা বিষয়ের মধ্যে থাকছে ফোকাসে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে, এয়ার রেড সাইরেন শুনলেই নাগরিকদের কী করতে হবে, তার ট্রেনিং হতে পারে আগামিকাল। এছাড়াও ব্ল্যাক আউট পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা ফোকাসে থাকবে ড্রিলের। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ তার সূত্র উল্লেখ করে রিপোর্টে বলছে, নাগরিকদের বাড়িতে হাতের কাছে কিছু জরুরি জিনিস যেমন, মেডিক্যাল কিট, টর্চ, মোমবাতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

এছাড়াও তথ্য বলছে,নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে যে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে হাতে কিছুটা নগদ টাকা রাখার কথা। যদি কোনও কারণে ডিজিটাল পেমেন্ট কাজ না করে মোবাইল ডিভাস থেকে, তার জন্য এমনটা করার পরামর্শ হয়তো দেওয়া হতে পারে। এমনই দাবি রিপোর্টের। জানা গিয়েছে, এই ২৪৪টি জায়গা যেখানে মক ড্রিল হবে, সেখানের মধ্যে ১০০ টিকে সংবেদনশীল জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

‘এনডিটিভির’রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই ড্রিলের ফোকাসে থাকতে পারে বায়ুসেনার সঙ্গে হটলাইন ও রেডিও কমিউনিকেশন সংযোগের কার্যকারিতা যাচাই পদ্ধতি। কন্ট্রোল রুমগুলি কতটা কার্যকরী রয়েছে, তাও যাচাই করা হবে। জানা যাচ্ছে, এই ড্রিলের অঙ্গ হবেন, হোম গার্ড, সিভিল ডিফেন্স কর্মী, ভলেন্টিয়াররা, এনসিসি, এনএসএস, জেলাপ্রশাসন, এনওয়াইকেএস, কলেজ ও স্কুলের পড়ুয়ারা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করাও থাকবে ড্রিলের ফোকাসে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের সময়ও এমন নির্দেশ জারি করা হয়নি। একমাত্র ১৯৭১ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে ভারত যুদ্ধে গিয়েছিল সেই সময় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার ২০২৫ সালে এমন নির্দেশিকা জারি হল। তাহলে কি এবার সরাসরি যুদ্ধের পথেই হাঁটতে চলেছে ভারত। সদ্য ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে হয়েছে মর্মান্তিক জঙ্গি হামলা। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই পাকিস্তানকে নিয়ে কড়া অবস্থানে দিল্লি।