খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২১ অগাস্ট, কলকাতাঃ
ছাত্রমৃত্যুর পুনর্নিমাণ করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন মৃতছাত্রের সমান ওজনের একটি পুতুল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবে পড়ে গেল ছাত্র, তা জানতে একটি ডামি পুতুল তৈরি করা হয়েছে। যার একটি পা সামান্য মোড়ানো।
যাদবপুর থানা থেকে পুতুলটি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলে যান পুলিশ ও ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলে ঠিক যেই জায়গায় ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ পড়েছিল সেখানে আলাদা করে দাগ করে হয়েছে ইতিমধ্যেই। এদিন পুলিশের ফরেন্সিক টিম একটি ডামি পুতুল নিয়ে আসে। পুতুলটি গাড়ি করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে মানুষের মতো জামাকাপড়ও পরানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার সমান ওজনেই তৈরি করা হয়েছে পুতুলটি। ঠিক যেভাবে ওই পড়ুয়া ওপর থেকে নিচে পড়েছিলেন সেভাবেই ওই স্থানে ফেলা হবে পুতুলটিকে। তারপর তদন্ত করবে ফরেন্সিক। পুলিশে ছয়লাপ হস্টেল চত্বর। আছেন লালবাজারের গোয়েন্দা এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। ঘটনার পর কয়েকদিন আগেও ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক। সেবার ধৃতদের সঙ্গে এনে ঘটনাস্থলে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এবার ধৃতদের আনা হয়নি।
সোমবার দুপুর নাগাদ পুলিশের ফরেন্সিক দল ডামি পুতুল নিয়ে মেন হোস্টেলে যান। এই পুননির্মাণের উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগোতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। ওই মডেল দিয়েই তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন, যে সেদিন রাতে পড়ুয়া নিজে থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল নাকি তাঁকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে হস্টেলের বারান্দার পাঁচিলের সঙ্গে ছাত্রের উচ্চতাও দেখা হচ্ছে।
নিজে থেকে ঝাঁপ দিলে তিনতলা থেকে কোথায় পড়ছে আর জোর করে ফেলা হলে, তার অবস্থান কী থাকছে, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট যাদবপুরের মেন হস্টেলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন।