তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সংসদ

95

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৫ মেঃ দীর্ঘদিন ধরে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক ফুল বদল করে জোড়া ফুলে নাম লেখালেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সংসদ। উন্নয়নের কাজে বাধা পেয়েই তিনি বিজেপি ছাড়লেন বলে দাবি করেন জন বার্লা৷

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সুব্রত বক্সিদের উপস্থিতিতে ঘাসফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিলেন উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই চা-বলয়ের নেতা তথা বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা।

তৃনমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা জানান, ছয়-সাত মাস ধরে আলোচনা চলছিল। বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগ করেই এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে নিশানা করেন বার্লা। তিনি জানান, রেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হাসপাতাল গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বাধায় এমনটা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বার্লা। যদি উন্নয়ন না করা যায় তাহলে বিজেপিতে কেন থাকবেন সেই প্রশ্নও তোলেন জন বার্লা।

উল্লেখ্য,গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই জন বার্লার সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব শুরু হয়। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় এবার লোকসভা নির্বাচনে তাকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। বদলে আলিপুরদুয়ার আসনে টিকিট পান মাদারিহাটের বিধায়ক বিজেপির দীর্ঘদিনের সৈনিক মনোজ টিগ্গা। মনোজ টিকিট পেতেই ফুঁসে ওঠেন বারলা। কার্যত দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নিজেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কাজ থেকে সরিয়ে নেন। মনোজ টিগ্গাকেও তীব্র আক্রমণ করেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তখনকার মতো বিষয়টি ধামাচাপা দেন। কিন্তু বার্লার ক্ষোভ ছিলই। নির্বাচনের প্রচার থেকে কার্যত নিজেকে সরিয়ে নেন বার্লার। উলটে তার অনুগামীরা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে চা বলয়ে প্রচার চালান বলে অভিযোগ। নির্বাচনের পরও বারলা কার্যত দলীয় কর্মসূচির থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেও দেখা যায় বার্লাকে। তখন থেকেই জল্পনা ছড়ায় বার্লা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বারলা নিজেও সেই জল্পনা কখনও অস্বীকার করেননি। দিন কয়েক আগে তার স্ত্রীর স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার তামাংয়ের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা সহ বিজেপি নেতৃত্ব। তখন মনে করা হচ্ছিল তবে কি ফের বিজেপিতেই থেকে যেতে চাইছেন বার্লা। তবে শেষ পর্যন্ত এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটালেন জন বার্লা।