খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৫ অগাস্ট, ইম্ফলঃ ফের উত্তপ্ত মণিপুর। শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত দুটো নাগাদ নতুন করে সংঘর্ষ ছড়ায় বিষ্ণুপুরের কোয়াকতা এলাকায়। মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের অন্তত তিনজন।
এই ঘটনার পরেই কুকি জনগোষ্ঠীর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ রুখতে যে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে সেই সীমানা পেরিয়েই কয়েকজন ঢুকে পড়ে এবং গুলি চালায়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, কোয়াকতা এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার আগে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সংঘর্ষের খবর পেয়েই তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। দুই দিন আগেও সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মেইতেই গোষ্ঠীর বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে বিষ্ণুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
অভিযোগ, থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংঘর্ষ বিষ্ণুপুরে। প্রসঙ্গত, গত তিন মাস জাতি হিংসায় জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত।
মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার।