গণপিটুনিতে মৃত্যুদণ্ড, গণধর্ষণে ২০ বছর সাজা! নতুন আইন আনছে কেন্দ্র

47

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ আমূল বদল হচ্ছে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা। বাদল অধিবেশনের শেষ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা জানিয়ে দিলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতা সংক্রান্ত আইন সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করা হচ্ছে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভারতীয়করণের লক্ষ্যে শুক্রবার লোকসভায় তিনটি বিল আনেন শা।

বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন আইন আনার কথা জানান। শাহ বলেন, ” জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে যে কারণেই হোক, পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক লোক দলবেঁধে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করলে তাদের প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে। অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে, কিংবা কমপক্ষে সাত বছর জেলে থাকতে হবে।

দোষীদের কারাবাসের পাশাপাশি জরিমানাও করা হবে। গণধর্ষণের অপরাধে ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজার প্রস্তাব করেছেন অমিত শা। নাবালিকা ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমলের তিন ফৌজদারি আইনে বদল আনছে কেন্দ্র।

ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (ভারতীয় দণ্ডবিধি), কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর ( সিআরপিসি) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পরিবর্তে তিনটি নতুন আইন চালুর লক্ষ্যে শুক্রবার তিনটি বিল এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নয়া প্রস্তাবে ঘৃণা বা উস্কানিমূলক ভাষণকেও অপরাধের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি ঘৃণা ভাষণ বা উস্কানিমূলক ভাষণ দেন, তা হলে তাঁর তিন বছরের জেলের সাজা প্রাপ্য। সঙ্গে রয়েছে জরিমানা। এ ছাড়া যদি কোনও ধর্মীয় সমাবেশে কোনও অংশ বা শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন, তাহলে পাঁচ বছরের সাজার সংস্থান রাখা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন, “ঔপনিবেশিক শাসনে এই আইনগুলি তৈরি হয়েছিল। তার মূল কারণ ছিল ভারতের মাটিতে ইংরেজ শাসনের ভিত্তিকে আরও পাকাপোক্ত করা। এর বদলে আমরা নতুন আইন আনছি। নয়া আইনে সরকার সুনিশ্চিত করতে চায় যে, তার উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার, শাস্তি নয়।”