খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১০ অগাস্ট, কলকাতাঃ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমেই যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই হস্টেল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি ফুল দিয়ে স্বপ্নদীপের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
স্বপ্নদীপের বাবার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের মুখে একটাই কথা, ‘আমরা বিচার চাই।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আধ ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। হস্টেলে স্বপ্নদীপ যে ঘরে থাকতেন, সেখানে গিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তারপর তিনি কথা বলেন স্বপ্নদীপের সহপাঠীদের সঙ্গেও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর।
বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি করে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রের মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ধরেছিল। বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়। সেই কারণেই অভ্যন্তরীণ আঘাত গুরুতর হয়ে উঠেছিল। ভেঙেছিল কোমরও। স্বপ্নদীপের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কীভাবে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গেলেন স্বপ্নদীপ, তা নিয়েই রহস্য দানা বাঁধছে। যাদবপুর কর্তৃপক্ষের থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্বপ্নদীপের বাবা-মা। কর্তৃপক্ষের থেকে তাঁদের জানানো হয়, স্বপ্নদীপ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্বপ্নদীপের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের বলি হয়েছে তাঁদের ১৮ বছরের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশেরও তাই দাবি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।