সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছে গ্রুপ ডি র কর্মী, স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী

113

ধূপগুড়ি, ৪ এপ্রিলঃ সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছিল স্কুলের একমাত্র শিক্ষকের।অন্য স্কুলের এক শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্কুল চালানোর জন্য। এদিকে স্কুলের দায়িত্বে ছিল এক গ্রুপ ডির কর্মী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছে গ্রুপ ডি র কর্মী।এতেই স্কুল চালানো নিয়ে সংকটে মুখে পড়েছে শিক্ষিকা। স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী। ধূপগুড়ি শহরে পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনা।

জানা গিয়েছে এই জুনিয়র হাই স্কুলে বর্তমানে সাত জন পড়ুয়া রয়েছে।একজন শিক্ষক এবং গ্রুপ ডি কর্মী স্কুল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।কিন্তু সম্প্রতি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়।এরপরই শিক্ষা দপ্তরের তরফে সাময়িক ভাবে স্কুল চালানোর জন্য এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই শিক্ষিকা গ্রুপ ডির কর্মীকে নিয়ে স্কুল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছে ওই গ্রুপ ডি কর্মী অমল মন্ডল। এই মুহূর্তে খাতায়-কলমে এই বিদ্যালয় একজনও শিক্ষক কিংবা শিক্ষা কর্মী নেই।

স্কুলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সৌমিতা রায় বলেন এখানে একজন শিক্ষক ছিল। তিনি কিছু দিন আগে মারা যান।এরপর দপ্তরের তরফ থেকে আমাকে স্কুল চালানোর জন্য দায়িত্ব দেন।কিন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্কুলের গ্রুপ ডির কর্মীর চাকরি চলে যায়।বর্তমান স্থায়ী কোনো শিক্ষক নেই।চিন্তায় রয়েছি কিভাবে স্কুল চালাবো।

স্থানীয় বাসিন্দা কালু ঘোষ বলেন, স্কুলে এমনিতেই ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কম।তারপর একজনের চাকরি চলে গেল।এখন এই স্কুল থাকবে কিনা তা নিয়ে আমরা চিন্তাতে রয়েছি।