খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৩ অগাস্ট, বারাসতঃ যাদবপুরের ছায়া এবার হাবড়ায়। সেগানকার নামী একটি স্কুলে নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র্যাগিং করার অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের দাদাদের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে হস্টেলের পাঁচিল টপকে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় ওই ছাত্র। শেষমেশ যদিও তাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে নৈশ প্রহরীরা।
ওই ছাত্রের নাম সাব্বার হোসেন। সে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার বাসিন্দা। সাব্বার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাণীপুর জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। স্কুলেরই হস্টেলে থাকত সে। অভিযোগ, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল।
জ্যামিতি বক্সের কাঁটা কম্পাস দিয়ে তার শরীরে আঘাত করার পাশাপাশি ওই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি হস্টেল অনেকের উপরেই এভাবে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছে। ভয়ে কেউ কোনও কথা বলতে পারত না। অভিযোগ সিনিয়রদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর আতঙ্কে শনিবার গভীর রাতে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে হস্টেলের দশ ফুট উঁচু পাঁচিল টপকে রাস্তায় নেমে পড়ে ওই পড়ুয়া। তারপর হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা হয়। হেঁটে হাবড়ার কুমড়া বাজারে পৌঁছয় ওই ছাত্র। সেখানে নৈশপ্রহরীরা তাকে আটকায়। এরপরেই তার বাড়িতে এবং হাবড়া থানায় খবর দেন ওই নৈশ প্রহরীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় পুলিশ। বাড়ির লোক আসতেই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কিশোরকে। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষও। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।