২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাতে সম্মতি দিল হাই কোর্ট

27

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২১ অগাস্ট, কলকাতাঃ ১১ বছরের ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাতে সম্মতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২৬ সপ্তাহের অন্ত্বঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে হাই কোর্ট সূত্রে খবর।

বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাবে এসএসকেএম হাসপাতাল। তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে হবে। তমলুক হাসপাতাল হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই নাবালিকার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিচার করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

 অভিযোগ, পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর নাবালিকা। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নাবালিকার বাবা-মা। জানতে পেরে গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পরে মেয়ের গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাবালিকার বয়স নিয়ে।

মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এখন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সেই নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক বা শারীরিক অবস্থায় নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির বিরল, তবে এক্ষেত্রে নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক।

এরপরেই, এই অবস্থায় নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব কিনা তা জানতে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও তমলুক হাসপাতাল সুপারকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালত আরও জানায়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাবালিকার যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। সব মিলিয়ে আজ, সোমবার সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এদিন রিপোর্ট দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গর্ভপাত করানো যাবে কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। সেক্ষেত্রে কোনও বড় হাসপাতালে যেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে এই গর্ভপাত করানোর যেতে পারে বলে জানান তিনি। আদালত জানিয়েছে, অবিলম্বে ওই নাবালিকাকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। এসএসকেএম হাসপাতালকে বিচারপতির নির্দেশ, একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাতে হবে।