খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর, কলকাতা: শোকজের তিনদিনের মাথায় জবাব দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুক্রবার সকালে বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বিধানসভার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শোকজের উত্তর দেন তিনি। ক্ষমা চেয়েছেন হুমায়ুন।
চিঠিতে বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনি দলের ক্ষতি চান না। কাউকে আঘাত করতেও তিনি চাননি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর পরেও দল পদক্ষেপ না-করায় আবেগতাড়়িত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন। তার জন্য তিনি ‘ক্ষমাপ্রার্থী’। কেন তাঁকে ওই সব কথা বলতে হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা তিন পাতার চিঠিতে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।
লিখেছেন, তিনি শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার লাঘব করতে বলেছেন। মমতার নেতৃত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি তিনি। এটা কী ভাবে দলবিরোধী কাজ হতে পারে? ক্ষমা চাইলেও বৃহস্পতিবারও তৃণমূলের এই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি।
কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছিলেন দলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কার হাত মাথায় থাকায় তৃণাঙ্কুরকে পদ থেকে অপসারণ করা হয় না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাহলে কেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো – কজ করল না দল? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে আক্রমণ করলেও কেন কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেই প্রশ্নও তোলেন হুমায়ুন। হুমায়ুনের জবাব নিতে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।