খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩০ নভেম্বর, কলকাতা: লাগাতার বেফাঁস মন্তব্যের জেরে চলতি সপ্তাহেই শোকজের মুখে পড়েন ভরতপুরের বিধায়ক কবীর। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে শুক্রবার সকালে বিধানসভায় গিয়ে জবাব দেন তিনি। দুঃখপ্রকাশও করেন। তবে ক্ষমা চাইলেও দলের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন।
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে হুমায়ুন বলেন, “আমি বিভিন্ন বিষয় বারবার শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।” হুমায়ুনের কথায়, “বিধায়ক অপূর্ব সরকার এবং রবিউল আলম চৌধুরী পঞ্চায়েত টিকিট দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। মলয় ঘটককে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও পদক্ষেপ হয়নি।”
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘অভিষেককে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলায় তাঁকে শো – কজ করা হলেও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করল না দল? কল্যাণ কলকাতার নেতা বলে?’
সুর চড়িয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যুতে আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সেটা শৃঙ্খলার পর্যায়ে আসবে কী আসবে না সেটা আমার প্রশ্ন। কল্যাণ তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা আমি লক্ষ্য করব।”