শীতলকুচি, ৯ আগস্টঃ বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে বৃহস্পতিবার। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মানুষের ভিড় কমছে না। কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষায় আছে, যদি ভারতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। এরপরই অনেকে অভিযোগ তোলেন, তাঁদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় শীতলকুচি গোলেনাওহাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিড়। সেখানে কয়েক হাজার বাংলাদেশি এসে সীমান্তের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও দিন ভর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সেই জায়গায় কড়া পাহারায় বিএসএফ। খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায় পৌঁছয় শীতলকুচি বিডিও সোফিয়া আব্বাস,শীতলকুচি থানার ওসি এন্থনি হোরো,সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকেরা।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অরাজগতার সৃষ্টি হয় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। তার জেরে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন ভারতে। তার পরেই বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কোথাও বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটের অভিযোগ উঠেছে সে দেশের নানা জায়গায়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশিদের অনেকেই ভিটে ছেড়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। শুক্রবার শীতলকুচির গোলেনাওহাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই কয়েক হাজার বাংলাদেশি মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বিএসএফ জানায়,কয়েক হাজার বাংলাদেশি মানুষ জ়িরো পয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন। সকলে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফেরত পাঠানো চেষ্টা করছে বিএসএফ। শুক্রবার দেখা যায়, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার জন্য শীতলখুচির গোলেনাওহাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জড়ো হয়েছেন। বিএসএফ অবশ্য তাঁদের সীমান্তের ফেন্সিংয়ের আগেই আটকে রাখে।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকাল থেকে কয়েক হাজার মানুষ সীমান্তের কাছাকাছি এসে উপস্থিত হন। তারপর তারা সেখানে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও লোকজন আসতে শুরু করেন। বাংলাদেশিরা এখানে যারা এসেছেন তারা অনেকে আওয়ামী লীগের সমর্থক। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তারা প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। যদিও সেখানকার কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা কড়া ভাবে তাদের উপর নজর রাখছে বলে জানান তিনি।