কোচবিহার শহরে এক সিমেন্ট ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দেওয়ার অভিযোগ অপর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে, আটক অভিযুক্ত

144

কোচবিহার, ১২ জুলাইঃ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ালো কোচবিহার শহরে৷ ওই গন্ডগোলের জেরে এক ব্যবসায়ীকে চাকু মারার অভিযোগ উঠল অপর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সাড়ে তিনটা নাগাদ কোচবিহার শহরের ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকায়। ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,তপন রায় নামে পান ব্যবসায়ী ফুটপাতে পান দোকান দিতে গেলে তাকে বাধা দেয় সুশান্ত দে নামে এক সিমেন্ট ব্যবসায়ী। এরপরেই দুই ব্যবসায়িক মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা শুরু হওয়ার পর পান ব্যবসায়ী তপন রায় সিমেন্ট ব্যবসায়ী সুশান্ত দে-কে পান কাটার ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন। এরপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই সিমেন্ট ব্যবসায়ী সুশান্ত দে। এরপরেই স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে নিয়ে যায় কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। খবর পেয়ে এলাকায় যান তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রভ্রাংশু সাহা৷ পরে তিনি মেডিক্যাল কলেজে আহত সিমেন্ট ব্যবসায়ী সুশান্ত দে-র সাথে দেখা করেন। পরে পুলিশ কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসে আহত ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করে কথা বলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷

এদিন এবিষয়ে ধর্মতলা মোড়ে আহত সিমেন্ট ব্যবসায়ী সুশান্ত দের স্ত্রী অনিন্দিতা দে-র অভিযোগ, তার স্বামী পাশেই পান ব্যবসায়ীকে ফুটপাত দখল করে দোকান দিতে নিষেধ করেছিলেন। সেই রাগে ওই পান ব্যবসায়ী ব্যাগ থেকে ছুঁড়ি বের তার স্বামীর গলায় আঘাত করে।

এদিকে পান ব্যবসায়ী তপন রায়ের উলটো দাবি, এই সিমেন্ট বিক্রেতা তার ওপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। তাঁর হাতে কোপ লেগেছে৷

এদিন এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহা বলেন, ওই পান ব্যবসায়ী ড্রেনের উপর দোকান দেওয়ার জন্য সেখানকার নোংরা পরিষ্কার করে সিমেন্ট ব্যবসায়ীর দোকানে দেন। সেখানে কর্মরত কর্মীদের গালিগালাজ করে এবং দোকানের মালিকের স্ত্রীর গায়ে নোংরা ছুঁড়ে দেয় বলে শুনতে পাই। পরে ব্যবসায়ী এসে পানের দোকানদারের সাথে কথা বলতে না বলতেই ব্যাগ থেকে ছুরি বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সিমেন্ট ব্যবসায়ীর গলায় কোপ দেয়। এটা পরিকল্পনা করেই করেছে বলে আমার মনে হয়। পরে নাকি ওই পান ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। আমার দাবি, কে এমন হল যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিতে হল। সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সমস্তটা প্রমান হবে বলে জানান তিনি।