প্রদীপ কুন্ডু,কোচবিহারঃ রাত পোহালেই মহালয়া, দোকানে ঢুকে চোখ পড়ে টেবিলের উপর বাজতে থাকার রেডিওর দিকে। দীর্ঘ চার দশকের সঙ্গী এই রেডিও। তুফানগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ইলেকট্রিক অফিস মোড়ে অবস্থিত দোকানের সামনে দিয়ে গেলেই শোনা যায় এই রেডিওতে নানান ধরনের গান। রাত পোহালেই বুধবার ভোরে মহালয়া, আর মহালয়া মানেই রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চণ্ডীপাঠ।
তবে বর্তমান যুগে কম্পিউটার, স্মার্টফোন,টেলিভিশন এর যুগে হারিয়ে গেছে গ্রাম গঞ্জের মানুষের দুঃসময় বার্তাবাহক বাঙালির সেই চিরাচরিত রেডিও। বর্তমান যুগে মুঠোফোন ও টিভির কারণে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে রেডিও কালের নিয়মে তালের সাথে তাল মিলাতে না পেরে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে একসময় পিছিয়ে গেছে একসময়ের দেশের সেরা অন্যতম গণমাধ্যম রেডিও। স্মার্টফোনের যুগে কদর হারালেও গ্রামগঞ্জের বহু মানুষের এখনো নিত্য কালের সঙ্গী এই রেডিও।
নৃপেনবাবু জানান, ১৯৮১ সালে বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এই রোডিওটি তাকে দেওয়া হয়েছিল তখন থেকেই তার দৈনন্দিন রুটিন এই রেডিও কে নিয়ে। নিপেন বাবুর দোকানে সেই আড্ডা দিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক কমল কৃষ্ণ কুন্ডু তিনি বলেন, নৃপেনের দোকানে এসে আড্ডা দিতে দিতে মনে পড়ে পুরনো দিনের সেই স্মৃতি,ওর রেডিওর শব্দ শুনলেই পুরনো অনেক স্মৃতি জেগে ওঠে। বিংশ শতকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায় রেডিও। সকাল থেকে রাত নির্দিষ্ট সময়ের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ছিল এই যন্ত্র।