খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৯ নভেম্বরঃ ছটপুজোর পর ক্রমেই শীত বাড়ছে উত্তরে। বাদ নেই জেলাগুলিও। জলপাইগুড়ি জেলায় এখন থেকেই সন্ধ্যে হলে শিশিরের ছোঁয়া আর ঠান্ডা হিমেল বাতাস কাঁপুনি দিচ্ছে। জানান দিচ্ছে শীত এসে গিয়েছে। আর খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে শীতকাল মানেই রকমারি মিষ্টি খাবারের সম্ভার। তারওপর সেটা নলেন গুড়ের হলে তো কোনও কথাই নেই। খেঁজুর গাছের গায়ে বাঁধা হাঁড়ি জানান দিচ্ছে শীত এবার জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে। এদিকে, শীতে খাবার বলতেই প্রথম যেটি মাথায় আসে, সেটি হল নলেন গুড়। তারপরই সেই গুড় দিয়ে চলে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরির পালা। শীতকাল মানেই পিঠে পুলির সমাহার। আর এই শীতের হিমেল বাতাস গায়ে মেখে ভাপা পিঠেতে মজেছেন জলপাইগুড়ি মানুষ।
বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। একসময় বাড়ির মা-ঠাকুমারা চালের গুঁড়ো, নারকেল, গুড় দিয়ে রকমারী পিঠে বানালেও আধুনিক যুগে ঘরে ঘরে সেই প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। সময়ের অভাবে এখন সব কিছুই রেডিমেড। ফলস্বরূপ বিভিন্ন বাজারে শীত পড়তেই বসে গিয়েছে পিঠের দোকানের পসরা। বিশেষ করে ভাপা পিঠের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কার্তিক মাসের শেষদিক থেকেই বাজারে বাজারে ভাপা পিঠের হিড়িক পড়ে যায়। সকাল সন্ধ্যে বাজারে বেরোলেই মাটির হাঁড়িতে ফুটতে থাকা গরম জলের ভাপে চালের এই পিঠে তৈরির দৃশ্য নজরে আসে। ব্যতিক্রম নয় জলপাইগুড়িও। বিভিন্ন বাজারে গেলেই নজরে আসছে ভাপা পিঠের সম্ভার নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতারাও দেদার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ বা সেখানেই গরম গরম তুলতুলে পিঠে সাবার করে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত পযর্ন্ত পিঠে তৈরি করে বিক্রি করছি। চাহিদা খুব ভালো। বানালে সঙ্গে সঙ্গেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে এক ক্রেতা বলেন, শীত পরলেই ভাপা পিঠের চাহিদা বেড়ে যায়। খেতে ভীষণ ভালো লাগে দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই হামেশাই চলে আসি ভাপা পিঠে কিনতে। সবমিলিয়ে এখন সকাল সন্ধ্যে ভাপা পিঠের রসনাতৃপ্তিতে মজেছেন জলপাইগুড়ি বহু মানুষ।