দিনহাটা, ১৭ এপ্রিল: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশির মৃত্যুর পরে ক্ষেপে গিয়ে ভারতীয় কৃষককে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ অভিযোগ করে বলেন, বিএসএফের রাবার বুলেটে মৃত্যুর ঘটনার পরে ক্ষেপে যায় বাংলাদেশিরা। এরপরে ভারতীয় কৃষককে যখন বাংলাদেশিরা তুলে নিয়ে গেল তখন বিএসএফ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল। অবিলম্বে ভারতীয়কে বাড়িতে ফেরানোয় পদক্ষেপ নিতে হবে বিএসএফকে।
জানা গেছে, বুধবার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। বিএসএফের রবার বুলেটে নিহত হয় এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী৷ বিএসএফ দেহ উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে নিয়ে এলে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। এদিকে এই ঘটনার পরে বাংলাদেশিরা সীমান্তে জমায়েত করে৷
অভিযোগ,কাঁটাতারের ওপারে ভারতের জিরো খতিয়ানের জমিতে কাজ করতে যাওয়া এক ভারতীয় কৃষক উকিল বর্মনকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের হাতিবান্ধার দিক থেকে আসা দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের বাংলাদেশের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া ভারতীয় কৃষককে ফেরাতে বিএসএফ ও বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে বুধবার রাতভর ফেরেননি উকিল বর্মন। উকিল বর্মনের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় সীমান্তের বাসিন্দারা ও তার পরিবার।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু নিষিদ্ধ জিনিস সীমান্ত দিয়ে পার করার চেষ্টা করছিল কয়েকজন। সন্দেহ হতেই বিএসএফ জওয়ানরা প্রশ্ন করেন সন্দেহভাজনদের। অভিযোগ, এরপরই সন্দেহভাজনরা বিএসএফের কর্তব্যরত জওয়ানের ওপর দা ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তারপরই তাদের থেকে প্রতিরক্ষার স্বার্থে গুলি চালনা শুরু করে বিএসএফ। আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে এই গুলি চালনা হয়। সেই সময়ই গুলিতে আহত হয় এক বাংলাদেশী পাচারকারী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।