মালদা, ৯ অক্টোবরঃ মালদার মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৪ সদস্যের ভ্রমণ ও খরচ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চর্চা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পঞ্চায়েতের খরচের একটি বিল, যেখানে দেখা যাচ্ছে ২১শে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় অংশগ্রহণ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর–১ ব্লকের এক্সকেরসন ট্যুরে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩,০৩,০০০ টাকা।
বিলে দেখা গেছে, হোটেলের রুম বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১,০৫,৬০০ টাকা, গাড়ি ভাড়া ৯০,০০০ টাকা, খাওয়া–দাওয়ায় খরচ ৯৬,০০০ টাকা এবং অন্যান্য খাতে প্রায় ১২,০০০ টাকা খরচ হয়েছে। বিলটিতে পঞ্চায়েত প্রধান মোহাম্মদ আনোয়ার আলীর স্বাক্ষর রয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান মোহাম্মদ আনোয়ার আলী দাবি করেছেন, ভ্রমণটি ছিল শিক্ষামূলক এবং ব্লক প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কলকাতায় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে আমরা রামনগর–১ পঞ্চায়েতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দেখেছি, যা আমাদের পঞ্চায়েতে প্রয়োগ করা হবে। এই ট্যুরে পঞ্চায়েতের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন, কোনো দুর্নীতি বা টাকা নয়ছয় হয়নি।”
তবে, এই খরচ নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধীরা। মালদা জেলা বামফ্রন্ট নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেছেন, “কোনও শিক্ষামূলক ভ্রমণ নয়, শুধুমাত্র শহীদ দিবসে অংশগ্রহণ এবং সমুদ্রে ফুর্তি করার জন্য এই টাকা খরচ করা হয়েছে। কোনো বিরোধী সদস্যকে এই ট্যুরে নেওয়া হয়নি।” দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডলও অভিযোগ করেছেন, “তৃণমূলের কাজই জনগণের টাকায় ফুর্তি করা। শিক্ষা মূলক ভ্রমণ বলা হচ্ছে শুধু নিজেদের রক্ষা করতে।”
তৃণমূলের শুভময় বসু, জেলা সহ–সভাপতি, এ নিয়ে রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিকে অবান্তর আখ্যা দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে মানিকচক পঞ্চায়েতে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সাধারণ জনগণও প্রশ্ন তুলছে, সরকারি অর্থ ব্যবহার করে এমন ভ্রমণ কতটা বৈধ ও নৈতিক।




