খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৯ আগস্টঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পর গোটা রাজ্য জুড়ে যখন রাজনৈতিক বাগবিতন্ডায় উত্তেজনা।সেই আবহে দাঁড়িয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ইউনিট ঘোষণা করলো শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি।তৃণমূল সূত্রে খবর,গতকাল রাতে টিএমসিপির নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গেছে, রাজন্যা হালদার দক্ষিন ২৪ পরগনার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি ছিলেন। গতকাল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজন্যাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী রাজন্যাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির সভাপতি ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব প্রামাণিককে করা হল চেয়ারপার্সন।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে রাজন্যা হালদারকে ভাষণ কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই, এমনটাই সূত্রের খবর।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজন্যা হালদার বক্তব্য দিতে শুরু করেন।তার ভাষণের ঝাঁঝ মন কেড়েছিল তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতাদের।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুকে নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজন্যা হালদার।
সেখানে বামেদের নিশানা করে সে বলেন,“এই বাম অতিবামদের চিনে নিন। বর্জন করুন ওদের। ওরা খুনি। ওরা আমার এক ভাইকে খুন করেছে। সেটা ঢাকা দেওয়ার জন্য ওরা তৎপর। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে এলে আমাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের মেরেছে। ওরা প্রোগ্রেসিভ বলে নিজেদের! এটা ওদের প্রগতিশীলতা?”
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান রাজন্যা হালদার ও টিএমসিপির ছাত্র নেতৃত্বরা। সেখানে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের সাথে বিরোধ বাঁধে। সেখানে রাজন্যা হালদার সহ অন্যান্য কর্মীদের মারধর করা হয়। তারপরে কয়েকজন নেতৃত্বদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরেই গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজন্যাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হবে। সেই অনুযায়ী আজ রাজন্যাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।