মালদা, ২৪ নভেম্বরঃ রাজ্যে উপনির্বাচনে ছয়টি আসনে তৃণমূলের জয়জয়কার। আর দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের সাফল্যকেই সামনে রেখে উপনির্বাচনের বিজয় উৎসব করলো মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার মালদা শহরের স্টেশন রোড এলাকার তৃণমূলের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলের নেতা-নেত্রীরা একে অপরকে সবুজ আবিরের রাঙিয়ে তোলেন।
এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি, সহ-সভাপতি বাবলা সরকার, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি টিঙ্কু রহমান,মহিলা নেত্রী হাসি খাতুন শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি শুভদীপ স্যানাল সহ বিশিষ্টজনেরা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পথচারীদেরও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে দুইহাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন, তা আরও একবার উপনির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেল। দীর্ঘদিন ধরে সিতাই এবং মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল। সেখানে এবারের উপনির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ধারে কাছে ভিড়তে দেয় নি তৃণমূলের প্রার্থীরা। এসবই হয়েছে দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির জন্য। আরজি কর কান্ড নিয়েই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরাও সেই দাবিতেই সোচ্চার হোন। আসলে বাংলার মানুষ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এইসব দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সেই সব বিরোধীদলের উস্কানি ডাক্তারদের দিয়েই তৃণমূলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিরোধীদের এই ষড়যন্ত্র কোনো কাজে আসে নি। বরঞ্চ রাজ্যের মানুষ দুই হাত তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করেছেন। যার ফলস্বরূপ উপনির্বাচনের ছয়টি আসনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
এটা মানুষের জয়। বিরোধীদের আর কোনো চক্রান্ত এখন আর কাজ করছে না। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। তাই উপনির্বাচনে এত ভালো ফল হয়েছে। এদিন এই জয়ের সাফল্যকে সামনে রেখেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিজয় উৎসব পালন করা হয়েছে। সবুজ আবির মেখে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়।