খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ নভেম্বর, কলকাতা: আরজি কর মামলায় গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ‘মুখবন্ধ’ করতে নয়া ব্যবস্হা নিল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার দেখা গেল সঞ্জয়কে যখন আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে তখন একেবারে নজিরবিহীন ঘেরাটোপে। কার্যত প্রাথমিকভাবে বোঝাই গেল না তাকে কোন গাড়িতে নিয়ে আসা হল শিয়ালদা আদালতে। তবে পরবর্তীতে জানা যায় কালো কাঁচ দিয়ে ঘেরা একটি গাড়িতে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এমনকী রাস্তায় গ্রিন করিডর করা হয়। কার্যত পুলিশের তরফে জানতেই দেওয়া হল না কোন পাঁচটি গাড়ির মধ্যে সঞ্জয় রায় রয়েছে। একটা প্রিজন ভ্যান ছিল সেই কনভয়ের মধ্যে। আর সেই কনভয়ের মধ্যে কালো কাঁচ দিয়ে ঘেরা দুটি গাড়ি ছিল। সেই গাড়ির মধ্যে একটি গাড়িতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয় রায়কে। সংবাদমাধ্যম কার্যত বুঝতেই পারেনি যে কোন গাড়িতে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষও বুঝতে পারেননি কোন গাড়িতে রয়েছে সঞ্জয়। উল্লেখ্য, তিলোত্তমার ঘটনায় চার্জশিটে অভিযুক্ত সিভিকের নাম একা উল্লেখ থাকার পর থেকেই বারেবারে মুখ খুলেছে সে। কখনও ভরা এজলাসে বলেছে, তাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কখনও আবার ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছে প্রিজন ভ্যান থেকে। অর্থাৎ নিজের যুক্তি তুলে ধরার মাধ্যম হিসাবে সে বেছে নিয়েছে প্রিজ়ন ভ্যান।
সোমবার অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিন ধৃতের মুখে শোনা গিয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি পদমর্যাদার অফিসারের নামও। প্রিজ়ন ভ্যানে উঠতে উঠতেই তা সে বলেছে। অভিযোগ করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে। যার জেরে বিড়ম্বনায় বেড়েছে বলে মনে করছে লালবাজারের একাংশ।যাতে আর নতুন করে সরকারকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেকারণেই সঞ্জয়ের মুখবন্ধ করতে তৎপর হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার দেখা গেল, লোহার জাল দেওয়া কালো কাচ-সহ এসি গাড়িতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে আসা হয়েছে শিয়ালদা আদালতে। এখন থেকে এই গাড়িতেই তাকে আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। এই গাড়ির বৈশিষ্ট্য হল কালো কাচে ঢাকা থাকবে গাড়িটি। যার ফলে অভিযুক্তের মুখ যেমন দেখা যাবে না। তাকে গাড়িতে তোলার পরই তুলে দেওয়া হবে কাচ। যার ফলে সিভিক আর গাড়ির মধ্যে থেকে মুখ বাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবে না।