শান্তনুর বিরুদ্ধে ‘বিফ পাস’ দেওয়ার ভয়ংকর অভিযোগ মহুয়ার

110

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৯ জুলাইঃ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত করলেন। তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, পাচারকারীদের সরকারি পাস দিয়ে পাচারে সহায়তা করেন শান্তনু। পাচারকারীরা যাতে পশ্চিমবঙ্গে জলপথে সমস্যায় না পড়ে, তা-ও দেখভাল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফ কর্তারা নাকি সংবাদাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ধরনের পার্মিট নিয়মিত দিয়ে থাকেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

মহুয়া মৈত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হান্ডেলে একটি ‘পাস’-এর একটি ছবি শেয়ার করেছেন। তার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেছেন যে শান্তনু ঠাকুর ৩ কেজি গরুর মাংস পাচারের অনুমতি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা গিয়েছে, নিজের অফিসিয়াল লেটারহেডে শান্তনু ওই মাংস সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার জন্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ৮৫ তম ব্যাটালিয়নকে বলেছেন।

এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র তাঁর পোস্টে বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-কে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘হ্যালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, গোরক্ষক সেনারা, গোদি মিডিয়া।’ মহুয়ার সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, শান্তনু ঠাকুরের নাম থাকা লেটারহেড প্যাডে জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে ৩ কেজি গোমাংস সীমান্তের ওপারে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর তা দেওয়া হয়েছে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটিলিয়নকে।

তবে বিএসএফ তরফে জানিয়ে দেন,এই ধরনের পাস নিয়মিত ইস্যু করে থাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিএসএফ আধিকারিকরা এও জানান, হাকিমপুরে তৃণমূলের ৮ কাউন্সিলর রোজ এই ধরনের ৮০টি করে পাস ইস্যু করেন। ২০১৩ সালে কলকাতা হাই কোর্টে এই নিয়ে মামলাও হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর এই কড়াকড়ি এবং পাস সিস্টেমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় হাই কোর্টের রায় বিএসএফ-এর পক্ষেই গিয়েছিল।