খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩০ নভেম্বরঃ রাজ্যের তথা দেশের প্রধান কৃষিজ ফসল হলো ধান। আর এখন কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। আর ধূপগুড়ি ব্লকে আমন ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি বেশিরভাগ কৃষক ইতিমধ্যে আলু চাষের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি আলু চাষ হয়ে থাকে ধূপগুড়িতে। কিন্তু আলু চাষে খরচ যেমন বেশি তেমনি গত কয়েক বছরে আলু চাষ করে সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পারেনি কৃষকরা। উল্টে অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যে কারণে ধূপগুড়ি কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে একাধিকবার কৃষকদের বিকল্প চাষের কথা বলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের সঙ্গে এনিয়ে শিবির করে আলোচনা সভাও করা হয়।এবং বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয়। আর কম খরচে কৃষকরা যাতে ভুট্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন তারজন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে।
জানা যায়, রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডানী এলাকার প্রায় চারশো বিঘা জমিতে হতে চলেছে ভুট্টা চাষ। আর এই ভুট্টা চাষের জন্য ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি ব্লকের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের হাতে ভুট্টা বীজ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তীতে রাসায়নিক সার, অনুখাদ্য, কীটনাশক দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। আর কৃষি দপ্তরের এহেন উদ্যোগে খুশি কৃষকরা।
এলাকার কৃষকদের কথায়, ভুট্টা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাছাড়া সরকারিভাবে আমাদের ভুট্টা চাষ করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে যেকারণে আমরা খুশি। অন্যদিকে আলু চাষে খরচ বেশি কিন্তু লাভ কম হয়। তাই আমরা ভুট্টা চাষে মনযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে ধূপগুড়ির সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন,” আলু ছাড়াও যে অন্য ফসল চাষ করা যায় এবং লাভবান হওয়া যায় সেটা কৃষকদের বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে বোঝানো হয়। আর কৃষকরা গত দুবছর আলু চাষ করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই ফসলের মধ্যে ডাইভারসিফিকেশন বা বৈচিত্র্যতা আনা দরকার। এতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে।
পাশাপাশি ক্ষতিও কম হবে। যে কারণে গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডানী এলাকায় প্রায় আড়াইশো জন কৃষকের হাতে ভুট্টা বীজ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং এখানে প্রায় চারশো বিঘা জমিতে কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় ভুট্টা চাষ হবে। কৃষকেরাও দারুন খুশি এতে।”