খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৯ জুলাই, কলকাতা: দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল দল। শনিবার সকালেই দলের রাজ্য কমিটির পক্ষে শোকজের চিঠি হুমায়ুনকে পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
পাল্টা জবাবে বিধায়ক জানিয়েছেন, মাথা নামিয়ে তিনি কোনও বোঝাপড়াতে যাবেন না। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই হুমায়ুনের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতির বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। পঞ্চায়েতে তাঁর অনুগামীদের প্রার্থী না করে অযোগ্যদের প্রার্থী করা হয়েছে এই অভিযোগে হুমায়ুন জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে সরব হন।
একই সঙ্গে দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজের একাধিক অনুগামীকে ‘গোঁজ’ প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর অভিযোগও রয়েছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। এমনকী দলে থেকে অসম্মান সহ্য করবেন না বলে নিজস্ব দলগঠনেরও হুঁশিয়ারি শোনা যায় তাঁর গলায়। পাশাপাশি দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে বর্তমান জেলা সভাপতির অপসারণের দাবি করেন তিনি।
তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের পর যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরাই সম্মান পাচ্ছেন। অথচ পুরনোদের কোনও সম্মান নেই। সম্প্রতি তিনি এও জানান, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর নাড়ির সম্পর্ক আস্তে আস্তে ছিন্ন হচ্ছে। এমনকী ২০২৬ সালে তিনি অন্য কোনও দলের হয়ে ভোটে লড়তে পারেন এই ইঙ্গিতও শোনা যায় তাঁর মুখে।
সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন নাম না করে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে আমাদের দলের একজন আছেন, যিনি মাঝেমধ্যেই হুংকার দেন। গুন্ডামিও করেন। আমি এসব একদম পছন্দ করি না।’ শেষমেষ দল তাঁকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিন হুমায়ুন বলেন, ‘শোকজের চিঠি আমার বাড়িতে এলেও আমি এখনও দেখিনি। দলের স্বাধীনতা আছে যে কোনও কর্মীকে শোকজ করার। তবে একটা কথা বলব ২০১৫ সালেও আমাকে একবার কয়েক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। দল যদি এবারও সেই রাস্তায় হাঁটে তবে আমাকেও অন্য কিছু ভাবতে হবে। কোনও চাপ বা অন্যায়ের সামনে মাথা নামাবো না।’ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য সাসপেন্ড হন হুমায়ুন।