খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ সাইবার প্রতারণা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। ডিলারদের সিম কার্ড কেনা-বেচার ক্ষেত্রে এবার একাধিক নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সিম কেনার সময় ভেরিফিকেশন আবশ্যিক বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অগস্ট থেকে সিম কার্ড বিক্রেতাদের বায়োমেট্রিক এবং পুলিশি যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে, একই সময়ে বিপুল পরিমাণে সিম কার্ড সংযোগ দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হল। জালিয়াতি রোধ করতেই এই পদক্ষেপগুলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
তিনি বলেছেন, “জালিয়াতি রোধ করতে আমরা সিম কার্ড ডিলারদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করছি। এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া, সিম ব্যবসায়ীদের এবং সিম কিনছেন যাঁরা, তাঁদের কেওয়াইসি করাতে হবে।” বর্তমানে ডিজিলাইজেশনের যুগে সাইবার ক্রাইম এখন সচরাচর দেখা যাচ্ছে। চারিদিকে খবর পাওয়া যায়, প্রতারকরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলের সাহায্যে মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাঁদের তথ্য এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই এবার সাইবার ক্রাইম কে দমন করতে সরকারের এই নতুন পরিকল্পনা।
কেন্দ্রের মতে, এমনটা করলেই ভুয়ো সিম কার্ড বিক্রি এবং একই নামে বা আইডিতে একাধিক সিম কার্ড বিক্রি বন্ধ হবে। ফলে এই অবস্থায় সিম কার্ডের বিক্রি এবং ব্যবহার নিয়ে কড়া বিধি কেন্দ্রের। এবার থেকে সিম বিক্রি করা মোটেই সহজ হবে না।
নয়া নিয়মে কী কী রয়েছে?
যাঁরা একসঙ্গে অনেক সিম কার্ড কেনেন, সেই ভেন্ডারদের এবার থেকে প্রতিটি সিমের ক্ষেত্রেই পুলিশ ও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে। পাশাপাশি সিমগুলির রেজিস্ট্রেশন থাকাও আবশ্যক। এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। বিক্রেতাদের কাছে ইতিমধ্যেই যে সিম কার্ডগুলি রয়েছে, ১২ মাসের মধ্যে সেগুলির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
কোনও গ্রাহক নতুন সিম কার্ড কিনতে চাইলে কিংবা পুরনো মোবাইল নম্বরের জন্য নতুন সিমের দাবি করলে, তাঁর আধার কার্ডের তথ্য QR স্ক্যান করে রাখতে হবে ক্রেতাকে। সেটিই KYC হিসেবে সঞ্চিত থাকবে।
এক ক্রেতাকে একসঙ্গে একগুচ্ছ সিম কার্ড আর বিক্রি করা যাবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক সঠিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে সর্বোচ্চ ন’টি সিম কার্ড নিতে পারবেন।