খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২ জুলাই, হুগলি: শুধু ভোট এলেই কেন দেখা মেলে সাংসদের? অন্য সময় কেন আসেন না? সিঙ্গুরে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রথমে নিরুত্তর থাকলেও পরে শাসকদলের উপর দায় চাপান।
রবিবার সিঙ্গুরে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে গ্রামে গ্রামে প্রচারে যান সাংসদ লকেট। সিঙ্গুরের আঠালিয়া গ্রামে পৌঁছাতেই তাঁকে দেখে জড়ো হন গ্রামের মানুষ। বেশ কিছুক্ষণ সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনেন সাংসদ। প্রবীণ ব্যক্তি কেউ বার্ধক্য ভাতা পাননি, কেউ আবার ঘর পাননি সে কথা বলছিলেন সাংসদকে। শুরু হয় অভিযোগের পর অভিযোগ। লকেট সেখানে দাঁড়িয়ে দায়ী করেন শাসকদলকে। ঠিক তখনই প্রবীন এক ব্যক্তি লকেটকে প্রশ্ন করেন, “শুধু ভোটের সময় এসে ভোটের কথা বললে হয় না, আগে থেকে এসব খোঁজ খবর নিতে হয়।” উত্তরে লকেট বলেন, এরাজ্যে তৃণমূল সরকার চলছে। সাংসদকে পাল্টা বৃদ্ধ বলেন, “হাজার তৃণমূল সরকার চালাক। অভাব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো বিজেপি, সিপিএমের তো দেখা দরকার ছিল।”
পরে লকেট বলেন , ‘এটা স্বাভাবিক। ওঁরা ভাবছেন সাংসদ আছে সব হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁরা জানে না সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য সরকারের হাত দিয়ে আসে। তাঁরা পাচ্ছে না এবং তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ‘ওনাদের ক্ষোভটা আসলে আমাদের উপর নয়। ভোটের আগে এসেছি বলে ক্ষোভ নয়, ক্ষোভ এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে।”
এই প্রসঙ্গে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেছেন, “লোকসভা ভোটের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু দু-একটা লাইট ছাড়া কোনটাই তিনি কার্যকারী করেননি। তৃণমূল সদস্যরা কাজ করেনি এ কথা কেউ বলতে পারবে না উন্নয়ন যথেষ্টই হয়েছে। কেউ বলতে পারবেন না যে, তৃণমূল এখানে কাজ করেনি। এলাকারও যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আর আবাস না পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। আর বার্ধক্য ভাতাও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার তারাও কোনও টাকা দেয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব তহবিল থেকে সেই টাকা দেবে বলে ঠিক করেছেন। ”