জলপাইগুড়ি, ৭ অক্টোবরঃ উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয়ের মধ্যেই নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষ-এর উপর হামলার ঘটনাকে ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,আর পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের দলের সহকর্মীরা—যাঁদের মধ্যে একজন সাংসদ ও একজন বিধায়ক রয়েছেন বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দুরবস্থা ও তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতার প্রতিফলন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আশা করি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন সময়ে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আমাদের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন উদ্ধারকাজে সহায়তা করে যান।”
তবে মোদীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে দ্বিধা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে লড়ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
তিনি দাবি করেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই ঘটনাস্থলে যান খগেন মুর্মু ও শংকর ঘোষ। কোনও তদন্ত বা রিপোর্ট ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন। এটা শুধু নিম্নমানের রাজনীতি নয়, সাংবিধানিক নৈতিকতারও লঙ্ঘন।”
মমতা আরও বলেন, “আমরা হিংসার নিন্দা করছি, কিন্তু এখন রাজনীতি নয় — সহায়তার সময়। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিই, আপনি শুধুমাত্র বিজেপির নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আপনার দায়িত্ব দেশ নির্মাণ, কাহিনি নির্মাণ নয়।”এই পালটা-পালটি মন্তব্যে রাজ্যের রাজনৈতিক তাপমাত্রা আরও বেড়ে গেছে।




