কোচবিহার রাসমেলার মাঠে খুঁটি পুজো দিয়ে মেলার কাজের সূচনা করলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

101

কোচবিহার, ৪ নভেম্বরঃ ঐতিহ্যবাহী প্রাণের ঠাকুর মদন মোহনের রাসমেলাকে ঘিরেই বিশ্বের দরবারে পরিচিত রাজার শহর কোচবিহার। এই রাসমেলা পরিচালনা করেন কোচবিহার পৌরসভা। এদিন রাসমেলার মাঠে খুঁটি পুজো দিয়ে কাজের সূচনা করলেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি ছাড়াও সেখানে উপস্থিত পৌরসভার বিভিন্ন আধিকারিক ও বিভিন্ন কাউন্সিলাররা।

জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী প্রাণের ঠাকুর মদন মোহনের রাসমেলাকে ঘিরেই বিশ্বের দরবারে পরিচিত রাজার শহর কোচবিহারের। ১৮১২ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভেটাগুড়ির বাড়িতে প্রবেশ করার সময় থেকেই রাসমেলার শুরু। পরবর্তীতে সেই মেলা ভেটাগুড়ি থেকে স্থানান্তরিত হয় কোচবিহারে। কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির চারপাশে সেই মেলা শুরু হলেও, পরে তা সরিয়ে রাসমেলা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় মেলা এই মেলা। ১৫ দিনব্যাপী এই মেলার পরিচালনা করেন কোচবিহার পৌরসভা। এবার কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা ১১৩ তম বর্ষতে পদার্পণ করবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই মেলা নিয়ে কোচবিহার পৌরসভা বনাম জেলা শাসকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। জেলাশাসক তিনি নির্দিষ্ট সময় ১৫ দিনের বেশি রাসমেলা করাতে রাজি নন। কিন্তু কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ রাসমেলা ১৫দিনে মানতে নারাজ। তিনি মেলা বাড়িয়ে ২০দিন করার কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে পৌরসভা বনাম জেলা শাসকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এরেই মাঝে রাসমেলার মাঠের খুঁটি পুজো করে মেলার কাজের সূচনা করলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের রাসমেলাকে ঘিরে রাসমেলার মাঠে ও তার আশপাশে জমে ওঠে মেলা। সেই মেলা পরিচালনা করে কোচবিহার পৌরসভা। এই মেলার খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে ওই মেলার কাজের সূচনা করা হল। আস্তে আস্তে মেলায় বিদুত্যের লাইনের কাজ কর্ম শুরু হবে। মেলায় নানা রকম দোকান খামার আসতে শুরু করেন। আগেই নাগার দোলা এসেছিল। যারা রাস মেলায় দোকান দেবেন, তারা অবশ্যই আসবেন। আমাদের অফিস ও আমরা কাল থেকে খুলে দেব। সেখান থেকে দোকানের জায়গা দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত দোকান খামার এসে যাবে বলে জানান তিনি।