খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৬ জুলাই, মালদা: বামনগোলায় দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের।
প্রসঙ্গত ১৮ জুলাই মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে হাটের মধ্যে চোর অপবাদে নির্যাতনের শিকার হন দুই মহিলা। বিবস্ত্র করে মারধর এমনকি জুতোপেটাও করা হয় ওই দুই মহিলাকে। কিন্তু ওই দুই মহিলাকে ১৭ ই জুলাই নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয় ওই দুই নির্যাতিতা মহিলার বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়টি প্রকাশে আসতেই জেলা জুড়ে শুরু হয় আন্দোলন এবং রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ঘটনায় সরব হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।
পালটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘মহিলারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে। এটা ঠিক নয়, মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, তদন্তও শুরু হয়েছে।’ ২৩ শে জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মালদা জেলা পুলিশ সুপারকে। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি মুখ্য সচিব ও ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।