খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৮ জুলাই, জলপাইগুড়িঃ সুপারি কিলার দিয়ে মামাকে খুনের অভিযোগ ভাগ্নের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্হানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহতাব আলম। রাত আনুমানিক ২ টা নাগাদ কয়েকজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে ঢুকে পড়েন।
তারপরেই আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহতাব আলমের ওপর চড়াও হয় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মেহতাব আলম।
স্বামীকে বাঁচাতে এসে ঘটনায় জখম হন মৌমিতা দাস। তবে কোনমতে পালিয়ে যায় মেহতাব আলমের দুই সন্তান। এরপর স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসে। ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পাওয়া মাত্র রাতেই ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী।
এরপর রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সকাল পর্যন্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগনা আফতাব হোসেন সহ ছয়জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা বলে সুত্র মারফত জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেহতাব আলমের দুই সন্তান। পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও। অন্যদিকে মেহতাব আলমের স্ত্রী মৌমিতা দাস বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কি কারনে এই ঘটনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা এলাকায় পুলিশ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।