খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারি, নয়াদিল্লিঃ আগামী ১ জুলাই থেকে নয়া তিনটি ফৌজদারি আইন কার্যকর হতে চলেছে দেশে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, জুলাইয়ের পয়লা তারিখ থেকে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ কার্যকর হবে।
এই আইন কার্যকরের জেরে বাতিল হয়ে যাবে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি), কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) এবং ১৮৫৭ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট। ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা।
সিআরপিসি বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। সংসদে শাহ জানান, নয়া আইন কার্যকর হলে আগামী পাঁচ বছরে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উন্নততর হয়ে উঠবে। খুঁটিনাটি সবকিছু এই তিন আইনের আওতায় আসায় সুবিধা হবে সবদিক থেকে। দিল্লি, চণ্ডীগড়ের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রথমে সেই তিনটি আইন কার্যকর হবে।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছিল, নয়া তিনটি ফৌজদারি আইনের সঙ্গে যাতে দেশের সব থানা সহজ হতে পারে, সেজন্য ৯০০টি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি অধিগ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রশিক্ষকদের নিয়োগ করছে। কারণ তিনটি আইনেই প্রযুক্তি ও ফরেন্সিকের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নয়া যে তিনটি আইন আনা হয়েছে, তাতে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে নিয়ম পালটানো হয়েছে।
ই-এফআইআর দায়ের করার সুযোগ আছে। ইলেকট্রনিক নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিচার করা হবে। প্রথমবারের জন্য গণপিটুনির মতো অপরাধকে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি আরও কঠোর করার বিধান আছে নয়া ফৌজদারি আইনে।