শিলিগুড়ি, ২৬ জানুয়ারিঃ ২০২৫ সালে পদ্ম সম্মানের প্রাপকের তালিকা সদ্য ঘোষিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রথা মেনে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাতে ঘোষিত হয়েছে এই সম্মান। এবার পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ১৩৯ জন। তাদের মধ্যে এবছর উত্তরবঙ্গ থেকে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন নগেন্দ্রনাথ রায়। সাহিত্য ও শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।
সরকারি সূত্রে খবর, রাজবংশী ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ করাতেই তাঁর এই প্রাপ্তি। বাংলা নিয়ে পড়াশোনা। এজাতীয় অনুবাদ নগেন্দ্রনাথ অবশ্য সংস্কৃত থেকে সরাসরি রাজবংশীতেই করেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, রাজবংশীতে রামায়ণ অনুবাদে তিনিই প্রথম। তবে সাত খণ্ডের বইটি এখনও পাঠকের হাতেই যায়নি। আগামী পয়লা বৈশাখ রাজবংশী ভাষার রামায়ণটি প্রকাশ করার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে রেখেছিলেন। তবে তার আগেই রাজবংশী ভাষায় চণ্ডী, গীতা, চণ্ডালিকার লেখক বহু কাঙ্ক্ষিত সেই স্বীকৃতি পেলেন। স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বৌ এবং পাঁচ মাসের নাতনির উপস্থিতিতে পদ্মশ্রী নগেন্দ্রনাথ জানাতে ভোলেন নি। তাই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরানো মা ভাগ্যেশ্বরীদেবীকেই জীবনের সেরা প্রাপ্তিকে উৎসর্গ করলেন।
নগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘শুনছি রামায়ণের জন্য এই সম্মান। কিন্তু কীসের জন্য এমন স্বীকৃতি ঠিক বুঝতে পারছি না।’ তবে এই সম্মান ১০ বছর আগে স্ট্রোকের শিকার হওয়া ৭৩ বছরের নগেন্দ্রনাথের উৎসাহ যেন দ্বিগুণ করে তুলেছে। তরতাজা তরুণের মতোই বলেন, ‘একটা সময় সাধ হলেও ভীতির কারণে মহাভারত লেখার কাজ শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন মনে হয় সেটা লিখতে পারব।’
পাশাপাশি বাংলা ভাষায় তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে “নিগম কাথা”, “হোকোল খোলি”, “ছাওয়ালি পাঠ ১ ও ২ অন্যতম। অনুবাদে দুঃসাহসিক কাজ করেছেন। যেমন “উপনিষদের কিচচা কাহিনী”, “গীতা” ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চন্ডালিকা রাজবংশী ভাষায় অনুবাদ করেছেন তিনি।