স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে ৬০০-র বেশি প্রতিযোগীদের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হল কোচবিহার প্রেস ক্লাবে

34

মনিরুল হক, কোচবিহার: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল কোচবিহার প্রেস ক্লাবে। এদিন প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় কোচবিহার শহরের ব্রাহ্ম মন্দির প্রাঙ্গনে। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ,উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির জন প্রতিনিধি অভিজিৎ দে ভৌমিক,প্রেস ক্লাবের সম্পাদক গৌর হারি দাস, সভাপতি অনুপাম সাহা সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।

জানা গেছে, স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোচবিহার জেলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ব্রাহ্ম মন্দিরের মাঠে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের মতো ওই বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬ শতাধিকেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। শূন্য ক্লাস থেকে শুরু করে সর্ব সাধারণ বিভাগ পর্যন্ত মোট ৪টি বিভাগ রয়েছে। এদিন যারা ওই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছেন তাদের প্রত্যেককে মেডেল, সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যারা এই অঙ্গন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে, তাদের সরস্বতী পুজোয় পুরস্কৃত করা হবে।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপাম সাহা জানান, আমরা কোচবিহার জেলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গতবার আমরা শুরু করেছিলাম এই আঁকো প্রতিযোগিতা। এবার তার দ্বিতীয় বার। গতবার ৩০০জন প্রতিযোগী ছিল। এবার ৬০০জনের বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ওই প্রতিযোগিতায় যারা অংশ গ্রহন করেছেন তাদের প্রত্যেককে মেডেল ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে। তাদের এবার সরস্বতী পুজোর দিনে তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। আমরা প্রতিবছর যেন সাধারন মানুষের আশীর্বাদে এই বসে আঁকো প্রতিযোগিতা করতে পারি সেই আশা রাখছি।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কোচবিহার প্রেস ক্লাবের এই উদ্যোগ কে ধন্যবাদ জানাই। কারন কোচবিহার প্রেস ক্লাবের প্রতিবছরের মতো এবারও তারা আয়োজন করেন বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ওই প্রতিযোগিতায় ছোট বড় প্রায় ৬০০-র বেশি শিশু সহ অন্যান্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের কারনে আজকে আমারও এখানে আসা। আমি প্রতিটি বাচ্চা ও অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলবো স্কুলের পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি খেলাধুলা, ছবি আঁকায় সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করাবেন। তাতে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে বলে জানান তিনি।