তুফানগঞ্জ, ১৩ অক্টোবরঃ দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর মাত্র ৪ দিনের আনন্দ। কারণ এই চারটে দিন মা দুর্গা থাকেন মর্ত্যে। সকল দুঃখ ভুলে নিজের মনের মতো করে বাঁচার চারটে দিন। এই কদিন পুজোয় অঞ্জলী দেওয়া থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলা-থাকে নানান রীতি নীতিপুজো শুরু হয় মায়ের বোধন দিয়ে আর শেষ হয় বরণ করে। এমনই চিত্র ধরা পরল তুফানগঞ্জ আদি বারুয়ারী পুজো কমিটির ১৩৮তম বর্ষের পুজো মন্ডপে।
দশমীর দিন মাকে বরণ করে সিঁদুর দিয়ে থাকেন সকল বিবাহিত মহিলারা। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন দশমীতেই হয় সিঁদুর দেওয়া। মাকে সিঁদুর দিয়ে কেন সেই সিঁদুর নিজের সিঁথিতে দিয়ে থাকেন সধবারা। হিন্দু ধর্মে মতে এর রয়েছে ব্যখ্যা।
শাস্ত্র মতে,সিঁথিতে সিঁদুর পরলে কপালে ব্রক্ষ্মা অধিষ্ঠান করেন। এই কারণে দশমীর দিন সিঁদুর খেলার প্রচলন আছে। এতে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
গীতা অনুসারে, কাত্যায়ণী ব্রত উপলক্ষে কৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। দশমীর দিন বিবাহিত মহিলারা আগে দেবীকে বরণ করেন। তাঁর কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে সেই সিঁদুর একে অন্যের সিঁথিতে দেন। একে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। পুজোর সময় দশমীর দিন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দেখা যায় ভিড়। সিঁদুর খেলতে হাজির হন অনেকেই। এই দিনটি একেবারে আলাদা ভাবে পালন করেন বাঙালি বউরা। মাকে বরণ করে মিষ্টি দিয়ে থাকেন। সঙ্গে মায়ের সিঁথিতে দেন সিঁদুর। সেই সিঁদুর একে অন্যকে পরান।




