জ্ঞানবাপীর পর মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার আবেদন শীর্ষ আদালতে

27

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৪ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের পরে এ বার মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ দাবি উঠল। শীর্ষ আদালতে এই আবেদন জানালেন হিন্দুত্ববাদীরা। এদিন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’।

তাই সেই নিদর্শনগুলি খুঁজে বার করার জন্য জ্ঞানবাপীর মতোই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।এটা করলেই সত্য সামনে চলে আসবে। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙে শাহি ঈদগাহ মসজিদটি তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব।

১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই স্বত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।

উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীর ধাঁচে মথুরার শাহি ঈদগাহ মসজিদে সার্ভের নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের একটি নিম্ন আদালত। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়। সোমবার শীর্ষ আদালতের শুনানিতে হিন্দুত্ববাদীদের তরফে বলা হয়, ‘ওই বিতর্কিত এলাকার ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা প্রয়োজন। মামলার প্রকৃতি খতিয়ে দেখে বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন থাকবে কি না, তা বিবেচনা করা হতে পারে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর এএসআইএর অধীনে সেখানে সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল মথুরা আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশকে ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। ১৯৯১ সালের ওই আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের পর দেশে যে ধর্মীয় স্থান যে অবস্থায় ছিল, সে ভাবেই তা থাকবে। এর পর মামলাটি গিয়েছে শীর্ষ আদালতে।