খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৪ এপ্রিল, ব্যাংকক: ব্যাংককে আয়োজিত বিমস্টেক সম্মেলনের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। হাসিমুখেই সৌজন্য বিনিময় করলেন তাঁরা। ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরে গত বছরের ৮ অগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউনূস।
এই প্রথম মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হল। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বৈঠক ঘিরে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। গত ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী ভারতেই রয়েছেন, যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদাধিকারীরা নয়াদিল্লিকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনাও নয়াদিল্লি-ঢাকা টানাপড়েনের অনুঘটক হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চিনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে এসেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকার তরফ থেকেই বারবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আবেদন জানানো হয় ভারতের কাছে। বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকেই অবশেষে বৈঠকে বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও আগের দিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংত্রাম শিনওয়াত্রার আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু দুজনের কোনও কথা হয়নি। তবে ইউনূসের সঙ্গে কী আলোচনা হল প্রধানমন্ত্রীর? সেই প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৈঠকের মাধ্য়মে ‘প্রতিবেশী গুরুত্ব’ নীতি ও সংযমের পরিচয় দিয়েছে নয়াদিল্লি। যখন ক্রমাগত দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ‘ঢিলেমি’ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতকে টপকে পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সম্পর্কের মজবুতের চেষ্টা করেছে, সেই আবহে ‘নৈরাজ্যপূর্ণ’ বাংলাদেশকে ঠেলে দেয়নি ভারত।