খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ অগাস্ট, কলকাতাঃ যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু করল পুলিশ। তবে ধৃতদের একসঙ্গে না এনে আলাদা আলাদা আনার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। শুক্রবার প্রাক্তনী সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে আসা হল মেন হস্টেলে। সপ্তকের সাহায্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ৯ অগস্ট রাতের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার দুপুর থেকে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেপ্তার হয়েছেন নয়জন। প্রত্যেকেই রয়েছেন পুলিশ হেপাজতে। তাদেরকে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ন’জনের বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। প্রকৃত সত্যের খোঁজেই তাই ধৃতদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনাটির পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এর মধ্যে শুক্রবার সপ্তককে নিয়ে আসা হল মেন হস্টেলে। এর পর বাকি আট জনকেও আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ে আসা হবে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে শুক্রবার পৌনে দু’টো নাগাদ শুরু হয়েছে যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেককে দিয়ে এই পুনর্নিমাণের প্রক্রিয়াটি শেষ হতে এক দিনেরও বেশি সময় লাগতে পারে। কোন ঘরে প্রথম ডাকা হয়েছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে, এরপর কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে, কোন ঘরে চিঠি লেখা হয়, বারান্দার কোন অংশ দিয়ে ওই ছাত্র নীচে পড়ে যায়, সবকিছুই খতিয়ে দেখবেন পুলিশকর্তারা।
পুলিশের বক্তব্য, ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিল্যা সেদিন ওই সময় হস্টেলে উপস্থিত ছিল। তাকে দিয়েই এই পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এরপর অন্য অভিযুক্তদেরও নিয়ে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ পর্ব চলবে। কারও বয়ানে কোনও অসঙ্গতি থাকছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৯ অগস্ট, বুধবার, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রকে। নদিয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রকে এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ করে ওই ছাত্রের পরিবার।