সিতাইয়ে পোলিং এজেন্ট ছাড়াই মকপোল করার অভিযোগ ভোটকর্মীদের বিরুদ্ধে

95

দিনহাটা, ১৩ নভেম্বরঃ পশ্চিমবঙ্গের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন— সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি এবং হাড়োয়া। লড়াইয়ে রয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। অন্য দিকে, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে জোট না হওয়ায় দুই দলই লড়ছে আলাদা আলাদা। আজ সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহন।

জানা গেছে, সিতাইয়ের প্রায় সব বুথে সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহন শুরু হলেও সিতাই হাই স্কুলে ৬৫ নং বুথে ভোট কর্মীরা পোলিং এজেন্ট ছাড়াই মকপোল ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। কিন্তু সেই বুথে কোনও পোলিং এজেন্ট না থাকার অভিযোগ উঠে। ফলে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ভোট কর্মীরাই পোলিং এজেন্ট ছাড়াই মকপোল পর্ব সেরেছেন বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিককে ৩৯ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন। বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ রয়েছেন। পরে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেকারণে সিতাই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। তাই সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সঙ্গীতা রায়। এখানে বিজেপির প্রার্থী হলেন দীপক কুমার রায়। বামেদের তরফ থেকে এখানে ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী করেছে অরুণ কুমার বর্মাকে।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিতাই থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া। বিজেপি প্রার্থী দীপক রায়কে ১০,১১২ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তিন বছর পরে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে সিতাই থেকে লিড ২.৫ গুণ করে নেন বাসুনিয়া। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিলেন বাসুনিয়া। লিড ছিল ২৮,৩৭৭ ভোটে। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।