খাবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২ ডিসেম্বরঃ রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা খর্ব হয়নি। সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি এলাকা বৃদ্ধি বিতর্কে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে পর্যন্ত বিএসএফ তল্লাশি, বাজেয়াপ্তকরণ ও গ্রেফতার করতে পারবে। আগে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র সরকার বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পরে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ,পঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্য। সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হলেও রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়নি। তাদের তদন্তের অধিকার বহাল থাকবে।’
নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের সব সীমান্ত রাজ্যে পঞ্চাশ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ সার্চ, সিজার এবং অ্যারেস্ট করতে পারবে। মেঘালয়,নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের মতো রাজ্যগুলি আয়তনের ছোট। ফলে পুরো রাজ্যতেই বিএসএফ তার কাজ করতে পারবে। কিন্তু, পুলিশের আইনি ক্ষমতা ক্ষুন্ন হবে না,জানিয়েছে কেন্দ্র। ফৌজদারি আইন মতে পাঞ্জাব পুলিশের কোনও ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়নি। যে কোনও ঘটনার তদন্তের অধিকার তাদের বহাল থাকছে। অভিমত দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। জানুয়ারি মাসে পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অসম,পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ তল্লাশি,বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করতে পারবে। পঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, গুজরাট এবং রাজস্থান হল পঞ্জাবের থেকে আলাদা। তাই পঞ্জাবে এই ক্ষমতার ব্যবহার ঠিক নয়। এরকম হলে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। পঞ্জাব একটি ছোট রাজ্য। অন্যদিকে, কেন্দ্র এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন,সমস্ত সীমান্ত রাজ্যে বিএসএফের এখতিয়ার রয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকে গুজরাটের ৮০ কিলোমিটার ছিল। এখন এটি ৫০ কিলোমিটার। কিছু অপরাধ,পাসপোর্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিএসএফের এক্তিয়ার থাকবে। স্থানীয় পুলিশেরও অধিকার থাকবে।
তিনি জানান,পুলিশের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। একচেটিয়াভাবে বিএসএফের কাছে ক্ষমতা ন্যস্ত করা হবে না। তিনি আরও জোর দেন,যে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলির মতো কিছু অপরাধই সাধারণ এখতিয়ারের আওতায় পড়ে। এরপরেই বেঞ্চ উভয়পক্ষকে একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে আলোচনা করতে বলেছে। তারপর শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।