খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ নভেম্বরঃ জেলে মৃত্যু হল ঝালদার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সত্যবান প্রামাণিকের। রবিবার সকালে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালে তাঁকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে মামলাটি সিবিআইয়ের অধীন থাকায় এনিয়ে জেলা পুলিশ থেকে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১৩ মার্চ বাড়ির কাছেই খুন হন পুরুলিয়া পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। ওই খুনের ঘটনায় নরেন কান্দু, সত্যবান প্রামাণিক ও কলেবর সিংকে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালতে পেশ করা হয়। পুলিস ভ্যানে বসে সত্যবান চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। বলেন, ঘটনায় আরও বড় মাথা রয়েছে। কিন্তু কে সেই মাথা ? এ ব্যাপারে আর কিছু বলেননি সত্যবান। তাহলে কি তপন কান্দুর স্ত্রী বারবার যে রাঘববোয়ালদের কথা বলছিলেন, সত্যবান ও কি তাঁকেই ইঙ্গিত করছে ? বলাই বাহুল্য, ফের তপন কান্দু হত্যাকান্ডে বড় মাথা অর্থাৎ শাসকদলের কোনও নেতার নাম থাকার জল্পনাকে উস্কে দিয়েছিলেন সত্যবান।
অন্যদিকে,ওই খুনের ঘটনায় মৃত্যু হয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তপন কান্দুর বন্ধু শেফাল বৈষ্ণবের দেহ। সে-ই ছিল কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তপন কান্দুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু এবং তার খুনের ঘটনা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি শেফাল বৈষ্ণব। তাই অবসাদে ভুগতেন।
ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সত্যবানকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযুক্ত সত্যবানকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। আজ সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সত্যবানের। কী কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা করেছে। এনিয়ে রহস্যও দানা বেঁধেছে।