খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২০ জানুয়ারি, কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়। সোমবার দোষী সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টের নির্দেশ শোনার পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার মা স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমার মেয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষিত হল। ওকে খুন করা হল। এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়? আসলে এটা সিবিআইয়ের ব্যর্থতা। ওরাই এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে প্রমাণ করতে পারল না।’’
অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কোন কেস বিরলতম? আর কী হলে তাকে বিরলতম বলা যায়— তাহলে গাইডলাইন দিক সুপ্রিম কোর্ট।” প্রসঙ্গত, সব মহলের দাবি ছিল ফাঁসির সাজার! তবে নৃশংস, বর্বরোচিত হলেও আরজি কর-কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড নয়, দোষী সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই সঙ্গে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ।
নির্যাতিতার বাবা আদালতের ভিতরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষতিপূরণ নিতে চান না। বাইরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্ষতিপূরণ নেব না। বিচারককে বলেছি। আমরা তো এ ভাবে আমাদের মেয়েকে বিক্রি করতে পারব না। তাই টাকা নিতেই পারব না। প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পেলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’’
নির্যাতিতার মায়ের কথায়, ‘‘আমি মনে করি, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। প্রকৃত দোষী ধরা পড়ুক। তা হলেই আমরা খুশি হব।’’ তাঁরা কি সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়েছিলেন? নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘সঞ্জয়ের কিছুই চাইনি আমরা। বিচারক যা ভাল বলে মনে করেছেন, করেছেন। এটাকে আমরা সিবিআইয়ের ব্যর্থতা হিসাবে দেখছি।’’