কর্নেল কুরেশির কাছে ১০বার ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত,সোফিয়াকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা বিজেপি মন্ত্রীর ‘বোধদয়’

291

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৪ মেঃ ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর আক্রমণের মুখে পড়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি থেকে শুরু করে পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহত বিনয় নরওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী নরওয়াল। এবার কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। অপারেশন সিঁদুরের ভূয়সী প্রশংসা কর‍তে গিয়ে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কুমার বিজয় শাহ। যা নিয়েই চাপের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা তথা আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কুমার বিজয় শাহ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস। এমনকী মন্ত্রীর বাড়ির বাড়ি কালি লেপে দিয়ে আসে কংগ্রেস কর্মীরা। তবে বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই বিজয় দাবি করেন, তাঁর ওই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি কর্নেল কুরেশির কাছে ১০ বার ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত।

এই আবহে বিজেপির মন্ত্রী কুমার বিজয় শাহ বলেন, ‘বোন সোফিয়া জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ভারতের গৌরব বয়ে এনেছেন। তিনি আমাদের নিজের বোনের চেয়েও বেশি সম্মানিত। জাতির প্রতি তাঁর সেবার জন্য আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমরা স্বপ্নেও তাকে অপমান করার কথা ভাবতে পারি না। তবুও, যদি আমার কথা সমাজ ও ধর্মকে আঘাত করে থাকে, তাহলে আমি দশবার ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।’

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মনপুর শহরে আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ওরফে বিজেপি নেতা কুমার বিজয় শাহ বলেন, “ওরা আমাদের হিন্দু ভাইদের পোশাক খুলে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি ওদের (জঙ্গিদের) বোনকে ওদের বাড়িতে হামলার জন্য পাঠিয়েছেন। ওরা (জঙ্গিরা) আমাদের বোনকে বিধবা করেছে, তাই মোদিজি ওদের সম্প্রদায়ের বোনকেই ওদের পোশাক খুলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।” এই মন্তব্যে সোফিয়া কুরেশির নাম না নিলেও মন্তব্য যে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। বিজয়ের ওই মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।

কিন্তু এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েন বিজয়। মধ্যপ্রদেশ রাজ্য বিজেপির তরফেও রীতিমতো তিরস্কার করা হয় বিজয়কে। অবিলম্বে বিজয় শাহকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।