খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৯ নভেম্বর, উত্তরকাশীঃ ঘণ্টা পরেও উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ থমকে। উদ্ধারকারী দল সূত্রে খবর, আটকে পড়া শ্রমিককে উদ্ধার করতে এখনও ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য মূলত পাঁচটি পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সময় আচমকা তীব্র শব্দ কানে আসে। সুড়ঙ্গের ভিতরে আবার কোথাও ধস নামে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের বিকল্প পথ ভাবা হয়েছে। অন্য পথ দিয়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।
উদ্ধারকারীরা এত দিন সামনের দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সুড়ঙ্গের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন। এ বার উপর দিক থেকে লম্বালম্বি ভাবে খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আবার নীচ থেকে একটি বিশেষ কোণ করে খোঁড়া হবে কি না, তা-ও ভেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, আরও উদ্ধারকারী দল যাতে সহজে সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছতে পারে, তার জন্য নতুন রাস্তা বানাচ্ছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। রবিবার দুপুরের মধ্যেই এই রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে।
ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সিল্কিয়ারা থেকে দান্দলগাঁও পর্যন্ত যে টানেল তৈরি হচ্ছে, গত রবিবার ভোরবেলায় সেই সুড়ঙ্গের দেড়শো মিটার অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভূমিধসের কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে অনুমান। তাতেই চাপা পড়েন ৪০ জন শ্রমিক।
এদিকে, শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) বিশেষ একটি দল। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উদ্ধারের পাঁচটি উপায় চিহ্নিত করেন। সেই অনুযায়ী শীঘ্র কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী দেরাদুনে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। শ্রমিকরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে খবর। কিন্তু স্বল্প খাবার খেয়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকায়, তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার।