খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৮ জানুয়ারি, কলকাতা: শনিবার আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে শিয়ালদহ আদালতে। এদিকে উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনায় বিচারের অন্তত একটা ধাপ পেরতে পারলেন বলে মনে করছেন নির্যাতিতার বাবা।
এদিন আদালত চত্বরেই কান্নাভেজা গলায় বাবা বললেন, বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরিয়ে দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম। বিচারক আমাদের বিষয়টি ভালোভাবে দেখেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তবে লড়াই চলবে আমাদের।” গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে মেয়ের বিচারের জন্য লড়ছেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নাম করেছিল সিবিআই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে।
এদিন রায়দানের পর বিচারক নিজের আসন ছেড়ে উঠে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আপনার উপর যে আস্থা রেখেছিলাম, তার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’’ তা শুনে বিচারক নির্যাতিতার বাবাকে জানান, তাঁদের কথা তিনি সোমবার শুনবেন।
পরে আদালতের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘বিচারককে ধন্যবাদ জানানোর ক্ষমতা নেই। উনি যে ভাবে বিষয়টি দেখেছেন, তাতে কৃতজ্ঞ। রুদ্রাক্ষের বিষয়টি সঞ্জয় ওর সাক্ষ্যগ্রহণের দিনেও বলেছিল। আমার মেয়ে তো আর কোনও দিন ফিরে আসবে না। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা চাইছি। এতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তাই মৃত্যুদণ্ডই চাইছি। আর যারা এই ঘটনায় যুক্ত, তাদেরও সাজা চাইছি।’’