সাসপেনশনের প্রতিবাদ, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা

24

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি, মেদিনীপুর: স্যালাইন কাণ্ডের জেরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন জুনিয়র ও ৬ জন সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। সেই সাসপেনশনের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের সমস্ত বিভাগের জুনিয়র ডাক্তাররা।

তাঁদের দাবি, সাসপেনশন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। তবে চালু রয়েছে জরুরি ও ওপিডি পরিষেবা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো স্যালাইন কাণ্ডে আবার ১২ জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। এই আন্দোলনের জেরে ভোগান্তির আশঙ্কায় রোগীরা।

গত কয়েকদিন ধরেই স্যালাইন কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর দায় ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাঁধেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, চিকিৎসকরা সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি হত না। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত রাউত, আরএমও-সহ মোট ১২ সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসককে।

যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি, সিনিয়র ডাক্তার এবং প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই কাজ করেন জুনিয়রেরা। এই অবস্থায় তাঁদের উপর দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘দুর্নীতি’কে ঢাকতে গিয়ে তাঁদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি মেদিনীপুর মেডিক্যালের পিজিটি ডাক্তারদের। তাঁরা বলেন, “যেখানে আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করি, সেখানে আমাদের সমাজের শত্রু বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

এর প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি, আগে যথাযথ তদন্ত করে দেখা হোক। তার পর যদি কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়, তখন ব্যবস্হা ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। এরইমধ্যে মেদিনীপুয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুপারের দায়িত্ব পান সাগর দত্ত মেডিক্যালের ইন্দ্রনীল সেন। তিনি কাজে যোগ দিয়ে নিজের দায়িত্বও বুঝে নিয়েছেন।