খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৮ জানুয়ারি, কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। ১২ মিনিটেই রায় ঘোষণা শেষ হতেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের ভিতরেই চিৎকার করতে শুরু করেন সঞ্জয়।শনিবার শিয়ালদহ আদালতের ২১১ নম্বর ঘরে বিচারক অনির্বাণ দাসের ভরা এজলাসে দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয়।
এজলাসে তাকে দাঁড় করিয়ে অভিযোগের খতিয়ান পড়ে শোনান বিচারক। বলেন, “আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি ন তারিখ ভোরের দিকে এক মহিলা চিকিৎসার উপর আক্রমণ করেন। তাঁর গলা চেপে ধরেন। মুখ চেপে ধরেন। তিনি মারা যান। আপনি যৌন নির্যাতন করেছেন।” এরপর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা ধারাগুলিও পড়ে শোনান বিচারক।
তিনি আরও বলেন, “গৃহীত সাক্ষ্য এবং সিবিআই আইনজীবীরা যা তথ্য প্রমাণ নিয়ে এসেছেন, তাতে আপনার অপরাধ প্রমাণিত। আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল বা তার বেশিদিনের সাজাও হতে পারে। আপনার আক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়। ৬৬ ধারায অনুযায়ী ২৫ বছর বা তার বেশি অর্থাৎ যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যাবজ্জীবন মানে কিন্তু মৃত্যু পর্যন্ত আপনাকে জেলে থাকতে হবে। যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেছেন তাতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডেও আপনি দণ্ডিত হতে পারেন।”
এরপরই কাঠগড়ায় চিৎকার করে ওঠে সঞ্জয়। বলে, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই অপরাধ করব!” তার আরও যুক্তি, “আমি যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিড়ে পড়ে যেত। স্যার আপনি বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যে আমাকে পুরো ফাঁসানো হচ্ছে।”
পাল্টা বিচারক জানিয়ে দেন, ‘সিবিআই আপনার বিরূদ্ধে যে যে অভিযোগ এনেছে, যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আপনার বাকি কথা সোমবার শোনা হবে।’ এদিকে এই যুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে নারাজ সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথী দত্ত। বলেন “সঞ্জয়ের কথার কোনও ভিত্তি নেই। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।”