খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২০ জানুয়ারি, কলকাতা: আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। বিচারক অনির্বান দাস মনে করেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে সঞ্জয়কে। শাস্তি ঘোষণার দিনও শিয়ালদহ কোর্টে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে।
তবে দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। তার পর এজলাস ছাড়ার সময় বিড়বিড় করে বলেন, ‘বদনাম হয়ে গেলাম’। এদিন সকালে শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর কক্ষে ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সঞ্জয়।
বিচারক বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি খুন বা অন্য কাজ কিছুই করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি আগের দিনও বলেছি। যেটা আমি শুনেছি, এত (প্রমাণ) কিছু নষ্ট হয়েছে। আমি জানতাম না। আগের দিনই বলেছিলাম, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। সেটা নষ্ট হয়নি। আমি নির্দোষ। আপনাকে আগেও বলেছি যে কী ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে, যার যা ইচ্ছে করেছে। অত্যাচার করা হয়েছে, সাইন (সই) করানো হয়েছে। যেখানে বলেছে সাইন (সই) করেছি।”
সওয়াল-জবাব চলার সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দু’হাত সামনে ঝুলিয়ে রেখে সামনের দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। দাবি করে, সে খুন-ধর্ষণ কিছুই করেনি। ফাঁসানো হয়েছে। প্রমাণ লোপাট হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই কুকীার্তি করেছে বা কারা প্রমাণ লোপাট করেছে, তা নিয়ে সঞ্জয়ের মুখে কুলুপ আঁটা। এদিনও কারও নাম উল্লেখ করেনি সে।